মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত মে মাসে সৌদি আরব সফরে আসার আগে এই অঞ্চলের ব্যাপারে ভালোভাবে অবগত ছিলেন না ট্রাম্প। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র কাতার সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের মূল হোতা বলে জানানো হয় ট্রাম্পকে। এরপর কাতারি সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রর সরকার নিয়ে একটি সংবাদ হ্যাকিংয়ের শিকারের ঘটনার পরপরই সৌদি অারব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিসর, ইয়েমেন এবং লিবিয়া কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এছাড়া আরেকটি দাবি আছে যে কাতারকে অবশ্যই আল-জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, যদি বন্ধ করা না হয়। মধ্যপ্রাচ্যের এই নজিরবিহীন সংকটে কাতারের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব এসেছে ইরান, তুরস্কের কাছে থেকে। কাতারকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে এ দেশ দুটি। কাতারের জবাব দেয়ার অনেক কিছুই আছে কিন্তু কপটাচারী সৌদি আরব বিচারকের ভূমিকায় খুব কমই উপযুক্ত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরে ১১ হাজার কোটি ডলারের সমরাস্ত্র চুক্তি হয়। এইযেন দাজ্জালি ফেতনার প্রতিচ্ছবি। মুসলিম নিধনই যেন তাদের উদ্দেশ্য। সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রর সেবাদাসে পরিণত হয়েছে। যে কাতারকে উদ্ধারের জন্য ইরাককে ধ্বংস করা হয়, আজ সেই কাতারকেই ধবংশের পায়তারা চলছে।